সাকার রায় ফাঁস মামলায় পাঁচজনের কারাদন্ড, স্ত্রী-পুত্র খালাস
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস মামলায় স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় সালাউদ্দিন কাদেরের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য চার আসামির সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চারজন হলেন—ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান, জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী।
রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। আদালত তাদের সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২১ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে তার আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।
২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।